"ম্যাস্টাইটিস" কাহিনীঃ
গবাদিপশুর খাদ্য ও পুষ্টি পর্যালোচনা : কচুরি পানা। রিপন সরকার Ripon Sarkar
গবাদিপশুর খাদ্য ও পুষ্টি পর্যালোচনা : কচুরি পানা
দৃষ্টি আকর্ষণ : এই সিরিজে বিভিন্ন সাইন্টিফিক টার্ম ব্যবহার করা হয়। কারো বুঝতে সমস্যা হলে কমেন্টে প্রশ্ন করবেন।
গরুর খাদ্য হিসাবে কচুরি পানা : আঠার শতকের শেষ দিকে এক ব্রাজিলিয়ান পর্যটকের মাধ্যমে বাংলাদেশে আসা কচুরিপানা আমাদের দেশের প্রায় সব জায়গা গরুর আপদ কালীন খাবার।
গবাদিপশুর খাদ্য ও পুষ্টি পর্যালোচনা : খড় (রাইস স্ট্র)। রিপন সরকার। Ripon Sarkar
গবাদিপশুর খাদ্য ও পুষ্টি পর্যালোচনা : খড় (রাইস স্ট্র)
দৃষ্টি আকর্ষণ : এই সিরিজে বিভিন্ন সাইন্টিফিক টার্ম ব্যবহার করা হয়। কারো বুঝতে সমস্যা হলে কমেন্টে প্রশ্ন করবেন।
গরুর খাদ্য হিসাবে 'খড় (রাইস স্ট্র)' : বিশ্বব্যাপি গরু পালনের সাথে ঘাসের সাথে সাথে আরেকটি জনপ্রিয় গোখাদ্য হচ্ছে ধানের খড় বা 'খড়' । কম পুষ্টিগুণ, নিন্ম মানের পুষ্টিগুণ, অধিক মাত্রায় সিলিকা ও সালফার, এই ধরণের বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও খড় ছাড়া গরু পালন একেবারেই অসম্ভব। হ্যা সম্ভব যদি বিকল্প কোন খড় জাতীয় 'হে' গরুকে খাওয়ানো যায়। পুষ্টিমান কম হলেও খড়ে আঁশের পরিমান বেশি থাকায় গরুর পেট ভরাতে এবং রুমেনের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে সবচে কার্যকরী খাবার হচ্ছে খড়। মধ্যম মানের ১ কেজি খড় থেকে গড়ে ৬ মেগাজুল বিপাকীয় শক্তি গরু পেয়ে থাকে। খড়ে গরুর শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় প্রধান মিনারেলের পরিমান কম হলেও ট্রেস মিনারেল ঘাসের মতো স্বাভাবিক পরিমানেই আছে। যেহেতু খড়ে আঁশ জাতীয় খাবারের পরিমান বেশি এবং দ্রুত গরুর পেট ভরে তাই খড় বেশি খাওয়ালে গরু অন্য খাদ্য গ্রহণ কমিয়ে দেয়। খড় গরুর রুমেনের পি এইস বা অম্লতা ঠিক রাখতে সাহায্য করলেও খাবার দ্রুত হজম হতে বাধার সৃষ্টি করে। খড়ের সবচে বড় সুবিধা হচ্ছে ড্রাই ম্যাটার এর পরিমান অন্য খাবারের চেয়ে বেশি, যা প্রায় ৯৩%।
গবাদিপশুর খাদ্য ও পুষ্টি পর্যালোচনা : ভুট্টা হে। রিপন সরকার।Ripon Sarkar
গবাদিপশুর খাদ্য ও পুষ্টি পর্যালোচনা : ভুট্টা হে (মেইজ স্টোভার হে)
দৃষ্টি আকর্ষণ : এই সিরিজে বিভিন্ন সাইন্টিফিক টার্ম ব্যবহার করা হয়। কারো বুঝতে সমস্যা হলে কমেন্টে প্রশ্ন করবেন।
গরুর খাদ্য হিসাবে 'ভুট্টা হে' : বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই ভুট্টা সংগ্রহ করার পর অবশিষ্ট গাছ শুকিয়ে কুচি করে গরুকে খাওয়ানো হয় খড়ের বিকল্প হিসাবে, বিশেষ করে যেসব দেশে ধান কম চাষ হয়। কম পুষ্টিগুণ বা নিন্ম মানের পুষ্টিগুণ মনে হলেও কার্বোহাইড্রেট উতপাদনকারী খাদ্যশস্যের মধ্যে ভুট্টা হের্ পুষ্টিগুণ সবচে বেশি। ধানের খড়ের চেয়ে ক্রুড প্রোটিন কম হলেও এতে ফ্যাটের উপস্তিতি এই খাবারের বিপাকীয় শক্তির পরিমান বাড়িয়ে দিয়েছে। ভুট্টার হে থেকে গড়ে ৩-৪% ক্রুড প্রোটিন পাওয়া গেলেও এতে আছে প্রায় ১% ক্রুড ফ্যাট। প্রতি ১ কেজি ড্রাই ম্যাটার থেকে প্রায় ৭-৮ মেরাজুল বিপাকীয় শক্তি পাওয়া যায়।
গবাদিপশুর খাদ্য ও পুষ্টি পর্যালোচনা : সয়াবিন মিল। রিপন সরকার। Ripon Sarkar
গবাদিপশুর খাদ্য ও পুষ্টি পর্যালোচনা : সয়াবিন মিল
দৃষ্টি আকর্ষণ : এই সিরিজে বিভিন্ন সাইন্টিফিক টার্ম ব্যবহার করা হয়। কারো বুঝতে সমস্যা হলে কমেন্টে প্রশ্ন করবেন।
গরুর খাদ্য হিসাবে সয়াবিন মিল : অতি উচ্চ মানের ক্রুড প্রোটিন এবং এমাইনো এসিডের উপস্তিতির কারনে সয়াবিন মিল বিশ্বব্যাপী গরুর জন্য জনপ্রিয় খাদ্য উপাদান এবং ১৯৩০ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ফার্মগুলোতে ব্যবহার হয়ে আসছে। তেলবীজ থেকে আহরিত প্রোটিন উৎসের মধ্যে গরুর জন্য বিশ্বব্যাপী প্রোটিন চাহিদার দুই তৃতীয়াংশ সয়াবিন মিল পূরন করে থাকে। ইউরোপেও গরুর খাদ্য হিসাবে সয়াবিন মিল বহুল ব্যবহৃত। উচ্চ মাত্রার ক্রুড প্রোটিন, মিনারেল এবং এমাইনো এসিড এবং স্বল্প মাত্রায় স্টার্চের উপস্থিতির কারনে আমাদের দেশেও বর্তমানে ব্যবহার অনেক বেড়েছে। সয়াবিন মিলে রয়েছে গড়ে ৫২% ক্রুড প্রোটিন এবং প্রতি কেজি মিলে প্রায় ২০ মেগাজুল গ্রস এনার্জি।
গবাদিপশুর খাদ্য ও পুষ্টি পর্যালোচনা : সরিষা খৈল। রিপন সরকার। Ripon Sarkar
গবাদিপশুর খাদ্য ও পুষ্টি পর্যালোচনা : সরিষা খৈল।
গরুর খাদ্য হিসাবে সরিষা খৈল : উচ্চ মানের ক্রুড প্রোটিনের উপস্তিতির কারনে মাস্টার্ড অয়েল মিল বা সরিষা খৈল বিশ্বব্যাপী গরুর জন্য জনপ্রিয় খাদ্য উপাদান। তেলবীজ থেকে আহরিত প্রোটিন উৎসের মধ্যে গরুর জন্য খাদ্য উপাদান হিসাবে ব্যবহারের পরিমানের দিক থেকে সয়াবিন মিলের পরেই সরিষা খৈলের অবস্থান। উচ্চ মাত্রার ক্রুড প্রোটিন ও মিনারেলের উপস্থিতি, সহজ প্রাপ্যতা এবং স্বল্প মাত্রায় স্টার্চের উপস্থিতির কারনে আমাদের দেশে গরুর জন্য তেলবীজের বাই প্রোডাক্টের মধ্যে সরিষা খৈলের ব্যবহার সবচে বেশী হয়ে থাকে। সরিষা খৈলে রয়েছে গড়ে ড্রাই ম্যাটারের ৩৫% ক্রুড প্রোটিন এবং প্রতি কেজি খৈলের মধ্যে প্রায় ২০ মেগাজুল গ্রস এনার্জি।
গবাদিপশুর খাদ্য ও পুষ্টি পর্যালোচনা : তিলের খৈল (Sesame Meal) রিপন সরকার। Ripon Sarkar
গবাদিপশুর খাদ্য ও পুষ্টি পর্যালোচনা : তিলের খৈল (Sesame Meal)
গরুর খাদ্য হিসাবে তিলের খৈল : উচ্চ মাত্রার ক্রুড প্রোটিন এবং এমাইনো এসিডের উপস্তিতির কারনে গ্রীষ্মমন্ডলীয় দেশগুলোতে বিশেষ করে দক্ষিন এশিয়া এবং দক্ষিনা আমেরিকা মহাদেশে তিলের খৈল গরুর জন্য জনপ্রিয় খাদ্য উপাদান। এশিয়া এবং ল্যাটিন আমেরিকা ছাড়াও আমেরিকা এবং ইউরোপেও গরুর খাদ্য হিসাবে তিলের খৈল বহুল ব্যবহৃত। ফাইটিক এসিড এবং অক্সালেটের উপস্থিতির কারনে কিছুটা তিতা স্বাদের তিলের খৈলে রয়েছে গড়ে ৪৫% ক্রুড প্রোটিন, ৮% ক্রুড ফাইবার এবং প্রতি কেজি মিলে প্রায় ২০ মেগাজুল গ্রস এনার্জি। তিলের খৈল গরুর দুধে ফ্যাটের পরিমান বৃদ্ধি করে এবং গরুর শরীরে উচ্চমানের পুষ্টি সরবরাহ করে।
গবাদিপশুর খাদ্য ও পুষ্টি পর্যালোচনা : নারিকেল খৈল (Copra Meal)
গবাদিপশুর খাদ্য ও পুষ্টি পর্যালোচনা : নারিকেল খৈল (Copra Meal)
গরুর খাদ্য হিসাবে নারিকেল খৈল : সমুদ্রবর্তী ট্রপিকাল এবং সাবট্রপিকাল লবনাক্ত আবহাওয়াযুক্ত অঞ্চলে প্রচুর পরিমানে উৎপাদিত নারিকেল থেকে তেল বের করার পরে বাই প্রডাক্ট হিসাবে পাওয়া নারিকেল খৈল একটি জনপ্রিয় এবং মধ্যম মানের ক্রুড প্রোটিন সমৃদ্ধ গোখাদ্য। ২০১০ সালে বিশ্বব্যাপী ব্যবহৃত গোখাদ্য নারিকেল খৈলের পরিমান ছিলো ১.৮৬ মিলিয়ন টন এবং ফিলিপাইন বিশ্বের প্রধান নারিকেল খৈল রপ্তানীকারন দেশ। নারিকেল খৈলের পুষ্টিমান অন্য খৈলের চেয়ে কম হলেও নারিকেল খৈলের বিশেষত্ব হচ্ছে এতে রয়েছে স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং স্বল্প মাত্রায় স্টার্চ যা গরুর রুমেনের অন্য খৈল অপেক্ষা অধিকতর উপযোগী। ইউরোপেও গরুর খাদ্য হিসাবে নারিকেল খৈল বহুল ব্যবহৃত এবং আমাদের দেশেও বর্তমানে ব্যবহার অনেক বেড়েছে। নারিকেল খৈল থেকে গড়ে ড্রাই ম্যাটারের ২৩% ক্রুড প্রোটিন, ১৪.২% ফাইবার এবং প্রতি কেজি খৈলে প্রায় ২০ মেগাজুল গ্রস এনার্জি পাওয়া যায়।
গবাদিপশুর খাদ্য ও পুষ্টি পর্যালোচনা : সূর্যমুখী খৈল (Sunflower Meal)। রিপন সরকার। Ripon Sarkar
গবাদিপশুর খাদ্য ও পুষ্টি পর্যালোচনা : সূর্যমুখী খৈল (Sunflower Meal)
গরুর খাদ্য হিসাবে সূর্যমুখী খৈল : সূর্যমুখী খৈল তেলবীজ থেকে পাওয়া একমাত্র খৈল যার মধ্যে কোন ক্ষতিকর উপাদান নাই। মধ্যম মাত্রার ক্রুড প্রোটিন এবং এমাইনো এসিডের উপস্তিতির কারনে সূর্যমুখী খৈল গোখাদ্য হিসাবে ব্যবহৃত বিশ্বের চতুর্থ সর্বোচ্চ তেলবীজের খৈল। শীতপ্রধান অঞ্চলে সবচে বেশী পাওয়া গেলেও বিশ্বের ৮০% দেশেই কমবেশী চাষ করা হয় এবং ইউক্রেন ও রাশিয়ায় সবচে বেশী চাষ করা হয়। শীত প্রধান দেশ এবং ইউরোপে সূর্যমুখী খৈল গরুর খাদ্য হিসাবে বহুল ব্যবহৃত। তেলবীজ থেকে পাওয়া গোখাদ্য উতসের মধ্যে একমাত্র সূর্যমুখী খৈলে কোন ক্ষতিকর উপাদান বা কোন প্বার্শ প্রতিক্রিয়া নাই। এতে রয়েছে গড়ে ৩৩% ক্রুড প্রোটিন, ২৭% ক্রুড ফাইবার এবং প্রতি কেজি খৈলে প্রায় ২০ মেগাজুল গ্রস এনার্জি। সূর্যমুখী খৈল গরুর দুধে ফ্যাটের পরিমান বৃদ্ধি করে এবং গরুর শরীরে উচ্চমানের পুষ্টি সরবরাহ করে।
গবাদিপশুর খাদ্য ও পুষ্টি পর্যালোচনা : কলাগাছ। রিপন সরকার। Ripon Sarkar
গবাদিপশুর খাদ্য ও পুষ্টি পর্যালোচনা : কলাগাছ
(আসুন ভ্যাজাল ক্যাচালে কান না দিয়ে কলা গাছ নিয়ে চিন্তা করি)
আমাদের দেশে গরুর আপদকালীন খাবার হিসাবে পরিচিত কলাগাছ (মুসা প্যারাডিসিকা) একটি ফলজ একবর্ষজীবি বৃক্ষ, যেটা ১ বার ফল দেয়ার পরে মারা যায়। আমাদের দেশের মতো ট্রপিকাল আবহাওয়ার দেশে প্রচুর কলাগাছ চাষ করা হয় এবং কলা সংগ্রহ করার পরে যেটার কান্ড ফেলে দেয়া হয়। অথচ একটু শ্রম দিলেই এটা হতে পারে একটা ভালো গরুর খাবার। আমাদের বাড়িতে পুকুর পাড়ে অনেক কলা গাছ ছিলো। ছোট বেলায় আব্বাকে দেখেছি পুকুরের পানি নষ্ট হয়ে গেলে অথবা গরুর খাবার সংকট দেখা দিলে কলা কাটার পর গাছ এবং ভিতরের শাঁস কুচি কুচি করে গরুকে খাওয়াতো খড়ের সাথে মিশিয়ে। গরুর খাদ্য হিসাবে সেই স্মৃতিবহুল কলা গাছ নিয়েই আমাদের আলোচনা।
গবাদিপশুর খাদ্য ও পুষ্টি পর্যালোচনা : কালোজিরা খৈল (Black Cumin Cake) রিপন সরকার।Ripon Sarkar
গবাদিপশুর খাদ্য ও পুষ্টি পর্যালোচনা : কালোজিরা খৈল (Black Cumin Cake)
গরুর খাদ্য হিসাবে কালোজিরা খৈল : কালোজিরা কে বলা হয় বিস্ময়কর ঔষধি বীজ। ঔষধি গুনের কারনে কালোজিরা এবং কালোজিরার তেল পৃথিবীর সব দেশে মানুষের খাবার হিসাবে ব্যবহার হলে অধিক মূল্য এবং দুষ্প্রাপ্যতার কারনে গরুকে খাওয়ানো সম্ভব হয়না।
গবাদিপশুর খাদ্য ও পুষ্টি পর্যালোচনা : ধান (Paddy Rice)। রিপন সরকার। Ripon Sarkar
গবাদিপশুর খাদ্য ও পুষ্টি পর্যালোচনা : ধান (Paddy Rice)
গরুর খাদ্য হিসাবে ধান : গ্রীষ্মমন্ডলীয় দেশগুলোতে ধান মানুষের খাবারের জন্য প্রচুর পরিমানে চাষ করা হয়। অনেক সময় কম দামের কারনে বাড়তি ধান কম মূল্যে বিক্রি করতে হয়। এমন অবস্থায় উচ্চমূল্যের গরুর খাবারের পরিবর্তে ধান হতে পারে একটা কম মূল্যের গরুর খাবার। ধানে ভিটামিন এবং মিনারেলের উপস্থিতি নাই বললেই চলে। এছাড়া স্বল্প মাত্রায় ক্রুড প্রোটিন এবং উচ্চ মাত্রায় ফাইবার ও স্টার্চের উপস্থিতির কারনে ধান গরুর আদর্শ খাবার না হলেও স্বল্প মূল্যে ধান হতে পারে গরুর জন্য বিকল্প খাদ্য। ২০০০ সালের গোড়ার দিকে কোরিয়া এবং জাপানে অতিরিক্ত ধান গরুকে খাওয়ানোর জন্য উতসাহিত করা হয়। এছাড়া গত শতকে গরুর খাদ্য হিসাবে ধানের মাঠ পর্যায়ে পরীক্ষায় দেখা যায় অতিরিক্ত স্টার্চ এবং ফাইবারের কারনে ধান খাওয়ানো গরুর বৃদ্ধি একই পরিমান ভুট্টা খাওয়ানো গরুর থেকে কম হয়। এর পরেও স্বল্প মূল্যে পাওয়া ধান হতে পারে গরুর জন্য সস্তা বিকল্প খাদ্য। এতে রয়েছে গড়ে ৭-১১% ক্রুড প্রোটিন, ৬২-৬৭% স্টার্চ, ৯-১১৫% ক্রুড ফাইবার, ৫-৬% লিগনিন এবং প্রতি কেজি ধানে প্রায় ১৭ মেগাজুল গ্রস এনার্জি। খোসা সহ আস্ত ধান মেশিনে গুড়া করে অন্য খাবারের সাথে মিশিয়ে খাওয়াতে হবে।
গবাদিপশুর খাদ্য ও পুষ্টি পর্যালোচনা : সরিষা স্ট্র (খড়) বা সরিষা হে। রিপন সরকার। Ripon Sarkar
গবাদিপশুর খাদ্য ও পুষ্টি পর্যালোচনা : সরিষা স্ট্র (খড়) বা সরিষা হে
সরিষা আমাদের দেশের একটা কমন তেলবীজ যা সারাদেশে শীতকালে প্রচুর চাষ করা হয়। পাকা সরিষা গাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করার পরে আমরা সাধারণত গাছ গুলো জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করি বা অনেকেই ফেলে দেই। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা বীজ সংগ্রহ করার পরে অবশিষ্ট শুকনা সরিষা গাছ হতে পারে গুরুত্বপূর্ণ বিকল্প গোখাদ্য।
গবাদিপশুর খাদ্য ও পুষ্টি পর্যালোচনা : ভুট্টা। রিপন সরকার। Ripon Sarkar
গবাদিপশুর খাদ্য ও পুষ্টি পর্যালোচনা : ভুট্টা
গরুর খাদ্য হিসাবে ভুট্টা : কম দাম এবং অধিক পুষ্টির জন্য পৃথিবী জুড়ে গরুর জন্য সবচে বেশি ব্যবহৃত সহযোগী দানাদার খাদ্যের নাম ভুট্টা। যেহেতু ঘাস গরুর প্রধান খাবার, দানাদার খাবারকে গরুর সহযোগী খাবার হিসাবে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। একই গাছে পুরুষ এবং স্ত্রী রেনুর ফুল থাকায় এবং সি ৪ ফটোসিনথেটিক প্রক্রিয়ায় শক্তি উৎপাদন করায় কম জমিতে সবচে বেশি শক্তি উৎপাদন করার ফসলের নাম ভুট্টা। অধিক পরিমানে স্টারর্স সঞ্চিত থাকায় ভুট্টা থেকে অধিক পরিমানে শক্তি উত্পন্ন হয়। সাধারনত ভুট্টায় ১০-১৫% পানীয় উপাদান এবং ৮৫-৯০% শুষ্ক অংশ থাকে। ভুট্টায় সাধারন ৯-১১% ক্রুড প্রোটিন, ৬০-৭০% স্টার্চ এবং ৪-৬% ক্রুড ফ্যাট থাকে।
পুষ্টিগুণ : প্রচুর বাইপাস প্রোটিন থাকায় ভুট্টা দুধের মান ও উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। একই সাথে মোটাতাজাকরণের জন্য ও ভুট্টা একটি উত্তম সহযোগী খাবার হিসাবে বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। পাকা ভুট্টা সংগ্রহ করার পরে শুকানো ভুট্টা গুড়া করে গরুকে অন্যান্য দানাদার খাবারের সাথে মিশিয়ে খাওয়ানো হয়। উত্তর আমেরিকায় আস্ত ভুট্টা সিদ্ধ করে মোটাতাজা করনের ষাড়কে খাওয়ানো হয়। এছাড়া পল্লী ডেইরি ফারমার্স উদ্ভাবিত ইস্ট ফার্মান্টেড ভুট্টা আমাদের দেশের জনপ্রিয় পুষ্টিকর গোখাদ্য হিসাবে বহুল ব্যবহৃত।
পুষ্টি উপাদান : (%/ড্রাই ম্যাটার)
ড্রাই ম্যাটার : ৮৭%
স্টার্চ : ৬৫-৭০%
ক্রুড ফ্যাট : ৪-৪.৫%
ক্রুড প্রোটিন : ৮-১২ %
ক্রুড ফাইবার : ২.৫%
এ ডি এফ : ৩.৫%
এন ডি এফ : ১২.২%
গ্রস এনার্জি : ১৮.৭ মেজুল/কেজি
ডাইজেস্ট এনার্জি :১৬.১ "
মেটাবলিক এনার্জি : ১৩.৬ "
মিনারেলস : (/কেজি ড্রাই ম্যাটার)
ক্যালসিয়াম : ০.৫ গ্রা/কেজি
পটাসিয়াম : ৩.৯ "
ম্যাগনেসিয়াম : ১.২ "
পটাসিয়াম : ৩.৯
সোডিয়াম : ০.০২
জিংক :২১ মিগ্রা/কেজি
আয়রন : ৩৭ "
এমাইনো এসিড : (%/প্রোটিন)
আর্গানাইন : ৪.৫ %
হিস্টিডাইন : ২.৬ %
লাইসিন : ৩.১ %
মেথিওনিন : ২.১ %
প্রোলিন : ৮.৮ %
ভ্যালাইন : ৪.৮ %
মাত্রা ও সতর্কতা : দুধের গরুকে দৈনিক দানাদার খাদ্যে সর্বোচ্চ ৪০% এবং ষাঁড় গরুকে সর্বোচ্চ ৫০% ভুট্টা দেয়া যেতে পারে। তবে স্বাভাবিকভাবে দৈনিক দানাদরের ৩০% পর্যন্ত সুষম পরিমান হিসাবে ধরা হয়। গরুর প্রধান স্বাথ্য সম্মত ও পুষ্টিকর খাবার হচ্ছে ঘাস ও খড় এবং মাত্রাতিরিক্ত স্টারর্স জাতীয় খাবার যেহেতু গরুর জন্য ক্ষতিকর। মাত্রাতিরিক্ত ভুট্টা গরুর পাকস্থলীতে অম্লতা বা এসিডিটি সৃষ্টি করে।
সকৃতজ্ঞ ধন্যবাদঃ জাহিদুল ইসলাম
গবাদিপশুর খাদ্য ও পুষ্টি পর্যালোচনা : গমের ভুষি। রিপন সরকার।। Ripon Sarkar
গবাদিপশুর খাদ্য ও পুষ্টি পর্যালোচনা : গমের ভুষি
গরুর খাদ্য হিসাবে গমের ভুষি : বিশ্বব্যাপি পশুখাদ্য হিসাবে সবচে স্বাস্থ্য সম্মত এবং সবচে বেশী ববহৃত খাদ্য উপাদান হচ্ছে গমের ভুষি। গম বীজের বাইরের পাতলা আবরণ বা খোসা হচ্ছে গমের ভুষি। পুষ্টিগুণ বিচারে গমের ভুষি পশুখাদ্য হিসাবে অদ্বিতীয়। সাথে রয়েছে গমের ভুষির বিশেষ কিছু স্বাস্থ্যকর কার্যকারিতা। গমের ভুষির রয়েছে বিশেষ পানি শোষণ ক্ষমতা, যে কারণে গমের ভুষি কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণে বিশেষ ভূমিকা রাখে। গমের ভূষিতে রয়েছে সুষম এমাইনো এসিড এবং যথেষ্ট পরিমান বিশেষ ধরণের ফসফরাস যা গরুর রুমেন সহজেই শোষণ করতে পারে। গমের ভুষির সবচে গুরুত্বপূর্ণ বিশেষত্ব হচ্ছে এতে আছে নন স্টার্চ কার্বোহাইড্রেট যা গরুর রুমেনে অতিরিক্ত এসিডিটি সৃষ্টি করেনা, যা ভুট্টা করে থাকে। গমের ভুষির প্রতি কেজি ড্রাই ম্যাটারে রয়েছে ১৭-১৯% ক্রুড প্রোটিন, ১০-১২% ক্রুড ফাইবার এবং ১১ মেগাজুল মেটাবলিক এনার্জি (হজম যোগ্য শক্তি)।
পুষ্টি উপাদান : (% ড্রাই ম্যাটার)
গবাদিপশুর খাদ্য ও পুষ্টি পর্যালোচনা : চালের কুড়া। রিপন সরকার। Ripon Sarkar
গবাদিপশুর খাদ্য ও পুষ্টি পর্যালোচনা : চালের কুড়া
পশুখাদ্য হিসাবে চালের কুড়া : বাংলাদেশ, ইন্ডিয়া, থাইল্যান্ড, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম, জাপান সহ প্রধান ধান উৎপাদনকারী দেশে গরুর খাদ্য হিসাবে সবচে জনপ্রিয় এবং ঐতিহ্যবাহী দানাদার খাদ্য উপাদান হচ্ছে চালের কুড়া বা রাইস ব্রান। ধান থেকে চাল বের করার পরে উপরের খোসা বাদ দিয়ে চালের উপরের বাদামি আবরণসহ পাউডার হচ্ছে রাইস পোলিশ। আর রাইস পালিশ থেকে তেল বের করে নেয়ার পরে অবশিষ্ট পাউডার হচ্ছে গরুর জন্য খাদ্য উপাদান হিসাবে ব্যবহৃত রাইস ব্রান অথবা চালের কুড়া। আমাদের দেশে আদিকাল থেকে গরু পালনের সাথে সবচে পরিচিত দানাদার খাবার হচ্ছে চালের কুড়া।
পুষ্টিগুণ :চালের কুড়ার মধ্যে রয়েছে গরুর জন্য প্রয়োজনীয় যথেষ্ট পুষ্টি উপাদান, যেমন : প্রোটিন, ভিটামিন এবং মিনারেলস। চালের কুড়া ভিটামিন বি'র অন্যতম প্রধান উৎস। চালের কুড়ায় আছে প্রচুর পরিমানে ফসফরাস এবং এমাইনো এসিড। এছাড়া রয়েছে ১৩-১৬ % ক্রুড প্রোটিন।
বীফ ফ্যাটেনিং গো-মোটাতাজাকরণ। রিপন সরকার,Ripon Sarkar
বীফ ফ্যাটেনিং (পূর্বের অংশের পর)
========================
গবাদি পশুর মোটাতাজাকরন কর্মসূচী ঃ
<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<
প্রথমে হাট থেকে জীর্ন শীর্ন গরু ক্রয় করতে হবে
৭ দিন পর
কৃমির ঔষধ খাওয়াতে হবে।
সব ধরনের কৃমি দমন করার জন্য Tab Endex বয়স ভেদে মাত্রা অনুযায়ী খাওয়াতে হবে।
বিফ ফ্যাটেনিং বা গো মোটাতাজাকরন। রিপন সরকার। Ripon Sarkar। ১ম পর্ব
বিফ ফ্যাটেনিং বা গো - মোটাতাজাকরন
====================
বীফ ফ্যাটেনিং একটা লাভজনক কর্মসূচী।এর মাধ্যমে জীর্ন শীর্ন গরুকে Urea ববহারের মাধ্যমে খড় খাওয়াইয়ে মাত্র ৩ মাস সময়ে মোটাতাজাকরন করা হয়।
সুবিধাঃ
============
১/ প্রাথমিকভাবে পুঁজি কম লাগে।
২/ আর্থিক ক্ষতির ঝুঁকি কম
৩/ স্হানীয় বাজার থেকে গবাদি পশু ক্রয় করে শুরু করা যায়।
বীফ ফ্যাটেনিং শুরু করার আগে নিম্মোক্ত বিষয়ে জোর দেয়া খুব জরুরীঃ
============================
গরুর শরীরে ভিটামিনের অভাবজনিত সমস্যাঃ রিপন সরকার। Ripon Sarkar
গরুর শরীরে ভিটামিনের অভাব হলে যেসব সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে:
গরুর শরীরে ভিটামিনের অভাব হলে যেসব সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে সে বিষয়ে আমাদের অনেকেরই কোন ধারণা নেই। গরু সুস্থভাবে বেঁচে থেকে সঠিকভাবে উৎপাদন পাওয়ার জন্য ভিটামিনের কোন বিকল্প নেই। কোন কারণে গরুর শরীরে ভিটামিনের অভাব দেখা দিলে গরুর স্বাভাবিক উৎপাদন অনেকাংশে কমে যায়। এছড়াও গরুর স্বাভাবিক বেঁচে থাকার জন্যও ভিটামিনের প্রয়োজন পড়ে। আজ তাহলে চলুন জেনে নেই গরুর শরীরে ভিটামিনের অভাব হলে যেসব সমস্যার সৃষ্টি সেই সম্পর্কে-
খামারে সহজে মাছি তাড়ানোর কিছু কৌশল। রিপন সরকার। Ripon Sarkar
👾👾👾👾👾👾👾👾👾👾👾👾👾👾
👻👻👻👻👻👻👻👻👻👻👻👻👻👻👻👻👻👻👻👻👻👻
খামারে সহজে মাছি তাড়ানোর কিছু কৌশল। রিপন সরকার। Ripon Sarkar
১। কর্পূর
কর্পূর মাছি তাড়াতে অনেক বেশি কার্যকরী। কর্পূরের ধোঁয়া ঘরে কিছুক্ষণ রাখুন। দেখবেন মাছি আপনার খামারে আর আসছে না।
২। পুদিনা পাতা
পুদিনা পাতার হাজারও গুণ আছে। মাছি তাড়াতেও এর জুড়ি নেই। খামারের আশেপাশে পুদিনা পাতার গাছ লাগান দেখেবন মাছি আপনার খামারে থেকে দূরে আছে। খামারে টবে পুদিনা পাতার গাছ লাগান এবং সেটি খামারে ঘরে রাখুন। দেখবেন মাছি আপনার খামারে আসছে না।
৩। এসেন্সিয়াল অয়েল
এসেন্সিয়াল অয়েল খামার শুধু সুভাষিত করে না। এটি ঘর থেকে মাছি তাড়াতেও সাহায্য করে। ল্যাভেন্ডার, লেবু, ইউক্যালিপ্টাসের এসেন্সিয়াল অয়েল স্প্রে করে দিন খামারে ঘরে। মাছি আপনার খামার থেকে দূরে থাকবে।
পশুর ক্ষুরা রোগ ও প্রতিকারঃ রিপন সরকার। Ripon Sarkar
পশুর ক্ষুরা রোগ ও প্রতিকারঃ রিপন সরকার। Ripon Sarkar
বাংলাদেশের সব ঋতুতেই ক্ষুরারোগ দেখা গেলেও সাধারণত বর্ষার শেষে এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি পরিলক্ষিত হয়।তীব্র প্রকৃতির ভাইরাসজনিত রোগের মধ্যে ক্ষুরারোগ অন্যতম।বয়স্ক গরুর মৃত্যুহার কম হলেও আক্রান্ত বাছুরকে বাঁচিয়ে রাখা খুবই কঠিন। অর্থাৎ ৬ মার বয়সের নীচে আক্রান্ত বাছুরের ৯৫ শতাংশই মারা যায়।বাছুর যেহেতু বাচানো যায়না তাই ; তাদেরকে আক্রান্ত গরু থেকে আলাদা করে দিতে হবে এবং আক্রান্ত গাভীর দুধ খাওয়ানো যাবে না।
চিকিৎসাঃ
১) মূল ব্যবস্থাপনা ২) তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ এবং ৩) খাবার ব্যবস্থাপনা ।
গবাদিপশুর ভ্যাকসিনঃ রিপন সরকার। Ripon Sarkar
গবাদিপশুর ভ্যাকসিনঃ
গবাদিপশুকে রোগে আক্রান্ত হওয়া থেকে মুক্ত রাখতে হলে কিছু বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে।যেমন কৃমি মুক্ত রাখা,ভাল বাসস্তান,সুষম খাবার,পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা ইত্যাদি।গবাদিপশুর অনেক রোগ আছে এগুলো আক্রমন করলে চিকিৎসায় অনেক সময় ভাল সুফল পাওয়া যায় না বা চিকিৎসার আগেই পশু মারা যায়।
এ রোগ গুলোকে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে সহযেই দমন করা যায়।আপনারা একটু সচেতন হয়ে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করলে আপনারা যেমন লাভবান হবেন তেমনি পশু গুলোও সুস্থ থাকবে এবং খামারের উৎপাদন বাড়বে।
যে রোগ গুলো গবাদি পশুর সবচেয়ে বেশি হয় এবং শুধু মাত্র ভ্যাকসিন প্রয়োগের মাধ্যমে প্রতিরোধ করা যায় সেগুলো হল--তড়কা,বাদলা,গলাফুলা,গো বসন্ত,ক্ষুরা রোগ,জলাতঙ্ক, পি.পি.আর(ছাগলের)।
গাভীর গর্ভফুল পড়তে দেরী হওয়ার কারণ এবং প্রতিকার : রিপন সরকার : Ripon Sarkar
গর্ভফুল পড়তে দেরী হওয়ার কারণ এবং প্রতিকার :
গাভীর 'গর্ভফুল পড়তে দেরী হওয়া' বলতে কী বুঝবো ?
যদিও, বাছুর জন্মের ২ থেকে ৮ ঘন্টার মধ্যে সাধারণত: গাভীর প্লাসেন্টা বা, গর্ভফুল পড়ে যায় , যদি বাছুর জন্মের ২৪ ঘন্টার মধ্যে গর্ভফুল না পড়ে, তবেই, তাকে 'গর্ভফুল পড়তে দেরী হওয়া' বা, 'রিটেইনড ফিটাল মেমব্রেন' বলা হয় ।
রিটেইন্ড ফিটাল মেমব্রেন এর কারণ :
গরুকে কৃমির ঔষধ খাওয়ানোর কিছু সাধারন নিয়মাবলী: রিপন সরকার। Ripon Sarkar
গরুকে কৃমির ঔষধ খাওয়ানোর কিছু সাধারন নিয়মাবলী:
আহামরি কোন নিয়ম নেই ! যা নিয়ম আছে তা আপনারা জানেনই। তবুও মনে রাখার জন্য এবং নতুনদের জন্য।
১.কৃমির ঔষধ সকালে খালি পেটে খাওয়ানো ভাল।
২.অত্যন্ত গরমের ভিতর না খাওয়ানোই ভাল।যদি খাওয়াতেই হয় তাহলে খাওয়ানোর সাথে সাথে গরুকে ১০/১৫ মিনিটের মত সময় ধরে গোসল করাতে হবে ও ফ্যানের নিচে রাখতে হবে।
গরুর ওজন নির্ণয় "লাইভ ওয়েট" পদ্ধতি। রিপন সরকার। Ripon Sarkar
গরুর ওজন নির্ণয়:
গরু কিনে ফেলার পর অনেকের মনে যে প্রশ্ন উঁকি ঝুঁকি মারে তা হল- কত কেজি মাংস হবে?🤔🤔🤔
আপনাদের অনুসন্ধিৎসু মনের চাহিদা মেটাতে একটা সহজ সূত্র শিখিয়ে দিচ্ছি যা দিয়ে আপনি আনুমানিক হিসেব কষে বের করে ফেলতে পারেন গরুতে কত কেজি মাংস পাওয়া যেতে পারে।
১. দৈর্ঘ্য(ইঞ্চি) L X বুকের বেড়(ইঞ্চি) G X বুকের বেড়(ইঞ্চি)G / ৬৬০= গরুর ওজন (মোট)
গরুর শারীরিক বৃদ্ধি, প্রজনন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা। রিপন সরকার। Ripon Sarkar
গরুর শারিরিক বৃদ্ধি, প্রজনন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা
অামরা গরু ছাগলের খাবারের পিছনে দৈনিক শত শত টাকা খরচ করলেও না বুঝার কারণে মাত্র ২০-৩০ পয়সা খরচ না করার ফলে দীর্ঘমেয়াদী অনেক ক্ষতির সম্মূক্ষিণ হচ্ছি তা অামরা জানিই না। যেমন অামরা প্রতিদিনই গরুকে ডিসিপি বা লাইম পাউডার বা ঝিনুক গুড়া দিচ্ছি কিন্তু তা সঠিক ভাবে শোষন হচ্ছে না শুধু মাত্র ভিটামিন ডি না থাকার কারণে। ফলাফল দাড়াচ্ছে অামরা খরচ করছি কিন্তু ফলাফল শূণ্য এবং গরুর শরীরের ঘাটতি পূরণ হচ্ছে না। ফলে নানাবিদ সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তেমনি ভিটামিন এ এর অভাবেও গরুর গ্রুথ সহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা যাচ্ছে। কিন্তু তা দৈনিক মাত্র ২০-৩০ পয়সায় এসব ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব। অনেকে তিন মাস পরপর এ সব ইনজেকসান দিয়ে থাকেন। এর সমস্যা হল ভিটামিন ই শরীরে সামান্য জমা হলেও ভিটামিন ডি শরীরে শোষন হয়না। তাই এর ঘাটতি পূরণের জন্য প্রতিদিনই খেতে দিতে হবে।