গরুকে কৃমির ঔষধ খাওয়ানোর কিছু সাধারন নিয়মাবলী:
আহামরি কোন নিয়ম নেই ! যা নিয়ম আছে তা আপনারা জানেনই। তবুও মনে রাখার জন্য এবং নতুনদের জন্য।
১.কৃমির ঔষধ সকালে খালি পেটে খাওয়ানো ভাল।
২.অত্যন্ত গরমের ভিতর না খাওয়ানোই ভাল।যদি খাওয়াতেই হয় তাহলে খাওয়ানোর সাথে সাথে গরুকে ১০/১৫ মিনিটের মত সময় ধরে গোসল করাতে হবে ও ফ্যানের নিচে রাখতে হবে।
৩.দানাদার খাবারের পানির সাথে কৃমিনাশক ঔষধ খাওয়ালে কোন কাজ করবে না।
৪.ট্যাবলেট গুড়া করে চিটাগুড় বা কলার পাতার সাথে মুড়িয়ে খালি পেটে খাওয়াতে হবে।
৫.কৃমিনাশক ঔষধ খাওয়ানোর পর কমপক্ষে ১ ঘন্টা কোন ধরনের খাবার দেয়া যাবে না।
৬.কৃমিনাশক ঔষধ নির্দিষ্ট মাত্রার চেয়ে বেশি পরিমান খাওয়ালেও কোন ক্ষতি হবে না।
৭.মাত্রার চেয়ে কম খাওয়ালে কৃমিতো মরবেই না বরং আরও সক্রিয় হবে।
৮.গাভীর বাচ্চা দেয়ার কমপক্ষে ৪৫ দিন পর কৃমিনাশক ব্যবহার করুন কিন্তু এর আগে না।
৯.আট মাসের উপর গর্ভবতী গাভীকে কৃমিনাশক খাওয়া উচিত নয়।
১০.নিয়মিত ৩ মাস পর পর সকল গরুকে কৃমিনাশক ঔষধ খাওয়াতে হবে।
১১.সদ্য ভুমিষ্ঠ গরুর বাচ্চাকে জন্মের ৫/৭ দিনের মধ্যে পাইপারজিন গ্রুপের কৃমিনাশক পাউডার খাওয়াতে হবে। এবং ৬ মাস বয়স পর্যন্ত প্রতি মাসে ১টি করে অ্যালবেন্ডাজল গ্রুপের ট্যাবলেট খাওয়াতে হবে।
১২.প্রতিবার কৃমিনাশক ঔষধ খাওয়ানোর পর অবশ্যই মাত্রানুযায়ী লিভার টনিক খাওয়াতে হবে। কৃমিনাশক ঔষধ খাওয়ানোর পর যদি খাওয়ার রুচি কম হয় তাহলে রুচিবর্ধক পাউডার/ট্যাবলেট খাওয়ালে দ্রুত রুচি ফিরে আসে।
No comments:
Post a Comment