গবাদিপশুর খাদ্য ও পুষ্টি পর্যালোচনা : চালের কুড়া। রিপন সরকার। Ripon Sarkar

গবাদিপশুর খাদ্য ও পুষ্টি পর্যালোচনা : চালের কুড়া 

পশুখাদ্য হিসাবে চালের কুড়া : বাংলাদেশ, ইন্ডিয়া, থাইল্যান্ড, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম, জাপান সহ প্রধান ধান উৎপাদনকারী দেশে গরুর খাদ্য হিসাবে সবচে জনপ্রিয় এবং ঐতিহ্যবাহী দানাদার খাদ্য উপাদান হচ্ছে চালের কুড়া বা রাইস ব্রান। ধান থেকে চাল বের করার পরে উপরের খোসা বাদ দিয়ে চালের উপরের বাদামি আবরণসহ পাউডার হচ্ছে রাইস পোলিশ। আর রাইস পালিশ থেকে তেল বের করে নেয়ার পরে অবশিষ্ট পাউডার হচ্ছে গরুর জন্য খাদ্য উপাদান হিসাবে ব্যবহৃত রাইস ব্রান অথবা চালের কুড়া। আমাদের দেশে আদিকাল থেকে গরু পালনের সাথে সবচে পরিচিত দানাদার খাবার হচ্ছে চালের কুড়া। 

https://riponsarkar21.blogspot.com


পুষ্টিগুণ :চালের কুড়ার মধ্যে রয়েছে গরুর জন্য প্রয়োজনীয় যথেষ্ট পুষ্টি উপাদান, যেমন : প্রোটিন, ভিটামিন এবং মিনারেলস।  চালের কুড়া ভিটামিন বি'র অন্যতম প্রধান উৎস। চালের কুড়ায় আছে প্রচুর পরিমানে ফসফরাস এবং এমাইনো এসিড। এছাড়া রয়েছে ১৩-১৬ % ক্রুড প্রোটিন। 


পুষ্টি উপাদান           : (%/ড্রাই ম্যাটার)

ড্রাই ম্যাটার             :  ৮৫%

হজ্বমযোগ্য এনার্জি : ৫৫-৬৫%

ক্রুড প্রোটিন           :  ১৪.২ %

ক্রুড ফাইবার          : ৪.১%

ক্রুড ফ্যাট               :  ১৩.২%

এ ডি এফ               :  ৩.২%

এন ডি এফ             :  ৩৮.২% 

লিগনিন                  :  ১.২ %  

স্টার্চ                        : ৪২ %

সুগার                       : ৩.২ %

গ্রস এনার্জি               : ২০.১ মেজুল/কেজি

ডাইজেস্টেবল এনার্জি : ১৯ "

মেটাবলিক এনার্জি      : ১৫.৮ " 


মিনারেলস।       :(গ্রাম/কেজি ড্রাই ম্যাটার)

ক্যালসিয়াম       : ০৬ গ্রা

ফসফরাস         :  ১৩.৩ 

পটাসিয়াম         : ১০.৮

ম্যাগনেসিয়াম    : ৬.১

ক্লোরিন              :  ০৯

সোডিয়াম          :  ০২

সালফার            :  ১৯

ফেরাস               : ২৩৯ পিপিএম

ম্যাঙ্গানিজ          : ১৮৬ পিপিএম

জিংক                : ৭১ পিপিএম


এমাইনো এসিড: (%/প্রোটিন)

আর্গানাইল       : ৭.৭

হিস্টিডাইন       : ২.৬

লাইসিন           : ৪.৫

মেথিওনিন       : ২.৩

প্রোলিন           : ৪.৭

ভ্যালাইন          : ৫.৪


ক্ষতিকর উপাদান : লিপোলিটিক এনজাইম যা মুখের স্বাদ নষ্টের জন্য দায়ী এবং সিলিকন যা হজম বাধাগ্রস্থ করে।


মাত্রা ও সতর্কতা : খাদ্যের অংশ হিসাবে দুধের গরুকে দৈনিক দানাদার খাদ্যে সর্বোচ্চ ৪০% এবং ষাঁড় গরুকে সর্বোচ্চ ৫০% চালের কুড়া দেয়া যেতে পারে। তবে স্বাভাবিকভাবে দৈনিক দানাদরের ৩০% পর্যন্ত সুষম পরিমান হিসাবে ধরা হয়। চালের কুড়ায় মাত্রাতিরিক্ত সিলিকা থাকায় এর হজমযোগ্যতা অনেক কম এবং হজমে হজম হয় না। মাত্রাতিরিক্ত চালের কুড়া গরুর পাকস্থলীতে অম্লতা বা এসিডিটি সৃষ্টি করে।


ধন্যবাদ।

No comments:

Post a Comment