মল দেখে বুঝে নিন আপনার শরীরের অবস্থা

খিদে বা খাওয়া নিয়ে আমরা যতটা মাথা ঘামাই, মলত্যাগ করা নিয়ে বোধহয় ততটা ঘামাই না। অথচ,সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকার জন্য এই দুটোই সমান গুরুত্বপূর্ণ। খাওয়ার অনিচ্ছা, মুখে রুচি না থাকা যেমন শরীর খারাপের প্রথম ধাপ, তেমনই মলত্যাগ স্বাভাবিক হচ্ছে কিনা তার থেকে বোঝা যায় শরীর সুস্থ কিনা। যে কোনও রোগের প্রথম লক্ষণ ধরা পড়ে মল থেকেই।


মল পরীক্ষার মাধ্যমে রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে চিকিত্সকরা মেনে চলেন দ্য ব্রিস্টল স্টুল স্কেল। এই তালিকা দেখে মিলিয়ে দেখে নিন আপনি কতটা সুস্থ।


যদি আপনার প্রথম বা দ্বিতীয় ধরনের মল হয় তা হলে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে। প্রথম ধরনের ক্ষেত্রে মল খুবই শক্ত হয় ও মলত্যাগ করতে কষ্ট হয়। দ্বিতীয় ধরনে মল অতটা শুষ্ক হয় না।

স্বাভাবিক মল দেখতে তৃতীয় বা চতুর্থ ধরনের মতো হয়। তৃতীয় ধরনের মল দেখতে সসেজের মতো হয়। উপরিভাগে ফাটল থাকে।

চতুর্থ ধরন হল আদর্শ। নরম, সমান ও সাপের মতো।

পঞ্চম থেকে সপ্তম ধরনের মল ডায়রিয়ার লক্ষণ। পঞ্চম ধরনে নরম, ছাড়া ছাড়া মল হয়। এবং খুব সহজে চেষ্টা ছাড়াই তা ত্যাগ করা যায়।

ষষ্ঠ ধরনে অতিরিক্ত তরল থাকার কারণে জমাট বাঁধা হয় না।

সপ্তম ধরনের মল পুরোটাই তরল হয়। কঠিন পদার্থ তৈরিই হয় না। এই ধরনের মল অ্যাকিউট ডায়রিয়ার লক্ষণ।

স্বাভাবিক মল

শরীরের পৌষ্টিকতন্ত্র যদি সুস্থ ভাবে কাজ করে তা হলে মলত্যাগ করাও সহজ হয়। লিভার থেকে বাইলের ক্ষরণ সঠিক ভাবে হলে এবং খাবারের পরিপাক সঠিক হলে খয়েরি রঙের যে মল হবে, সেটাই হল স্বাভাবিক রং। এই ধরনের মলে কোনও হজম না হওয়া খাবারও লেগে থাকবে না।

ভাল মলত্যাগ করার জন্য খাওয়ার সময়ও যত্ন করে খেতে হবে। খাওয়ার সময় স্ট্রেসমুক্ত থাকুন। ধীরে ধীরে চিবিয়ে খান। বিশেষত রাতের খাবার। মুখেই কিন্তু উত্‌সেচকের মাধ্যমে হজমের প্রথম ধাপ শুরু হয়ে যায়। ভাল করে চিবিয়ে খেলে খাবারের পুষ্টিগুণও ভাল মতো শোষিত হবে শরীরে। এতে হজম ভাল হবে এবং সকালে মলত্যাগও স্বাভাবিক থাকবে।


অস্বাভাবিক মল

আপনার শরীর ঠিক মতো কাজ করছে না তার প্রথম লক্ষণ অস্বাভাবিক মল। মলের রং ও ঘনত্ব যদি ঠিকঠাক না থাকে তা হলেই সাবধান হয়ে যান।

No comments:

Post a Comment