Dividend Policy (ডিভিডেন্ড পলিসি)
একটি কোম্পানি তার মুনাফার পুরোটাই শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে লভ্যাংশ হিসেবে বিতরণ করে না। লভ্যাংশের একটি অংশ সংরক্ষিত তহবিল, ইকুয়ালাইজিং ফান্ডসহ বিভিন্ন খাতে জমা রাখে। কোম্পানি তার মুনাফার কত ভাগ লভ্যাংশ হিসেবে বিতরণ করবে তা লভ্যাংশ সংক্রান্ত নীতিমালার ভিত্তিতে নির্ধারণ করে।
বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি নিজ কর্তৃত্বে যে কোন পরিমাণ লভ্যাংশ বিতরণের ক্ষমতা রাখলেও কিছু ক্ষেত্রে এর ব্যাতিক্রম রয়েছে। মিউচুয়াল ফান্ডগুলো তাদের মুনাফার সর্বোচ্চ কত অংশ লভ্যাংশ হিসেবে বিতরণ করতে পারবে তা বিএসইসি সময়ে সময়ে নির্ধারণ করে দেয়। বর্তমানে একটি মিউচুয়াল ফান্ড তার আয়ের সর্বোচ্চ ৬৫ শতাংশ লভ্যাংশ হিসেবে হিসেবে বিতরণ করতে পারে। অন্যদিকে বীমা আইন অনুসারে জীবনবীমা কোম্পানিগুলো তাদের মুনাফার সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ লভ্যাংশ হিসেবে বিতরণ করতে পারে।
Dividend yield (ডিভিডেন্ট ঈল্ড)
কোম্পানির যে পরিমাণ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে (ফেস ভ্যালুর উপর ডিভিডেন্ড দেয়) তা বর্তমান বাজার মূল্যের কত অংশ তাকেই ডিভিডেন্ট ঈল্ড বলা হয়। ধরা যাক-এবিসি কোম্পানির প্রতিটি শেয়ারের অভিহিত(ফেইস ভ্যালু) মূল্য ১০ টাকা। কোম্পানিটি ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। একজন বিনিয়োগকারী যে দামেই শেয়ার কেনে-না কেন তিনি প্রতি শেয়ারের জন্য ৩ টাকা লভ্যাংশ পাবেন। কোন বিনিয়োগকারী যদি ১০০ টাকায় এই শেয়ার কিনে থাকেন তাহলে বিনিয়োগের বিপরীতে তার প্রকৃত লভ্যাংশ প্রাপ্তি (ডিভিডেন্ড ঈল্ড) হবে ৩ শতাংশ। ঘোষিত লভ্যাংশকে ১০০ দিয়ে গুণ করে বাজার মূল্য দিয়ে ভাগ করলে ডিভিডেন্ড ঈল্ড পাওয়া যায়।
সূত্র : ডিভিডেন্ড ঈল্ড = ঘোষিত লভ্যাংশ *১০০/ শেয়ারের বাজার মূল্য
ডিভিডেন্ড ঈল্ড এর পতনঃ
শেয়ার বিনিয়োগ থেকে বর্তমান বাজার মূল্যে, আনুমানিক যে পরিমান ক্যাশ রিটার্ন পাওয়া যাবে তাকেই ডিভিডেন্ড ঈল্ড বলে। ধরা যাক ডিভিডেন্ডের পরিমানে কোন পরিবর্তন না করলে, ডিভিডেন্ড ঈল্ড তখনই বাড়বে যখন শেয়ারের দাম কমবে এবং তখনই কমবে যখন শেয়ারের দাম বাড়বে। যেহেতু ডিভিডেন্ড ঈল্ড এর পরিবর্তন শেয়ারের দামের উপর নির্ভর করে, তাই কম দামের শেয়ারের জন্য ডিভিডেন্ড ঈল্ড অস্বাভাবিক ভাবে বেশি হয়ে থাকে।
ধরুন কোম্পানি-এ এর স্টক 20 টাকায় ট্রেড হচ্ছে এবং শেয়ারহোল্ডারদের কাছে 1 টাকায় প্রতি শেয়ারের বার্ষিক লভ্যাংশ প্রদান করে। এছাড়াও, ধরুন যে কোম্পানি-বি এর স্টক 40 টাকায় ট্রেড করছে এবং শেয়ার প্রতি 1 টাকায় বার্ষিক লভ্যাংশ প্রদান করে। এর অর্থ হল কোম্পানি-এ এর লভ্যাংশ ফলন (Dividend Yield) 5% (1 / ২0 = 0.05), এবং কোম্পানির-বি এর লভ্যাংশ ফলন (Dividend Yield) শুধুমাত্র 2.5% (1/40 = 0.025)। অন্য সকল কারণকে সমান ধরে, একজন বিনিয়োগকারী তার আয়কে বৃদ্ধি করার জন্য তার পোর্টফোলিওতে কোম্পানি-এ রাখতে চাইবে, কারণ এটির লভ্যাংশ ফলন (Dividend Yield) দ্বিগুণ কোম্পানির-বি এর থেকে।
ডিভিডেন্ড ঈল্ডের গুরুত্বঃ
বাংলাদেশের পুজিবারের প্রেক্ষাপটে ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেয়া কোম্পানির গুরুত্ব অনেক বেশি। কারন এখানে ভাল কোম্পানি তাদের শেয়ার বৃদ্ধি করতে ইচ্ছুক না, তাই তারা সব সময় ক্যাশ দিয়ে থাকে। আবার এই সব কোম্পানির শেয়ারের দামের মধ্যে পরিবর্তন খুব বেশি থাকে না। যারা দীর্ঘ সময়ের জন্য ঝুকি মুক্ত বিনিয়োগ করতে আগ্রহী তারা ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেয়া কোম্পানিগুলোর দিকে বেশি খেয়াল রাখে। এদের মধ্যে যে সব কোম্পানির Dividend Yield বেশি এবং প্রায় সব সময় ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেয়, সেসব কোম্পানির শেয়ারের দাম কমের দিকে আসলেই তারা তাদের পোর্টফলিওতে এই শেয়ার কিনে থাকেন। কারন কম দামে কিনতে পারলে ঈল্ড বেশি পাওয়া যাবে।
অন্যদিকে দেখা যায় বাংলাদেশের পুজিবারের অপেক্ষাকৃত খারাপ পার্ফম করা কোম্পানিগুলো স্টক ডিভিডেন্ড দিয়ে থাকে, লাভের সম্পুর্ন অংশ কোম্পানিতে রেখে দেয় পুঃণরায় বিনিয়োগ করার জন্য। যেখানে কোম্পানির শেয়ার ভ্যালু বৃদ্ধি হওয়ার কথা, সেখানে আমাদের মার্কেটে ভ্যালু আরো কমে যায়। কারন এসব কোম্পানি এই টাকাকে ভাল ভাবে ব্যবহার করতে পারে না।
আমাদের দেশেও কিছু ব্যতিক্রম শেয়ার রয়েছে, যারা খুব ভাল পার্ফম করে। তারা ভাল লাভ করে, কিন্তু কোম্পানির গ্রোথের জন্য শেয়ার হোল্ডারদের লাভের কিছু অংশ ক্যাশ হিসাবে দেয় এবং বেশির ভাগ অংশ পুঃণরায় ইনভেস্ট করে। এসব কোম্পানির গ্রোথ রেটও ভাল এবং এসব কোম্পানির উপর ইনভেস্টোরদের আগ্রহ বেশি থাকে।
#Dividends #DividendYields #LearnToInvestWisely
একটি কোম্পানি তার মুনাফার পুরোটাই শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে লভ্যাংশ হিসেবে বিতরণ করে না। লভ্যাংশের একটি অংশ সংরক্ষিত তহবিল, ইকুয়ালাইজিং ফান্ডসহ বিভিন্ন খাতে জমা রাখে। কোম্পানি তার মুনাফার কত ভাগ লভ্যাংশ হিসেবে বিতরণ করবে তা লভ্যাংশ সংক্রান্ত নীতিমালার ভিত্তিতে নির্ধারণ করে।
বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি নিজ কর্তৃত্বে যে কোন পরিমাণ লভ্যাংশ বিতরণের ক্ষমতা রাখলেও কিছু ক্ষেত্রে এর ব্যাতিক্রম রয়েছে। মিউচুয়াল ফান্ডগুলো তাদের মুনাফার সর্বোচ্চ কত অংশ লভ্যাংশ হিসেবে বিতরণ করতে পারবে তা বিএসইসি সময়ে সময়ে নির্ধারণ করে দেয়। বর্তমানে একটি মিউচুয়াল ফান্ড তার আয়ের সর্বোচ্চ ৬৫ শতাংশ লভ্যাংশ হিসেবে হিসেবে বিতরণ করতে পারে। অন্যদিকে বীমা আইন অনুসারে জীবনবীমা কোম্পানিগুলো তাদের মুনাফার সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ লভ্যাংশ হিসেবে বিতরণ করতে পারে।
Dividend yield (ডিভিডেন্ট ঈল্ড)
কোম্পানির যে পরিমাণ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে (ফেস ভ্যালুর উপর ডিভিডেন্ড দেয়) তা বর্তমান বাজার মূল্যের কত অংশ তাকেই ডিভিডেন্ট ঈল্ড বলা হয়। ধরা যাক-এবিসি কোম্পানির প্রতিটি শেয়ারের অভিহিত(ফেইস ভ্যালু) মূল্য ১০ টাকা। কোম্পানিটি ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। একজন বিনিয়োগকারী যে দামেই শেয়ার কেনে-না কেন তিনি প্রতি শেয়ারের জন্য ৩ টাকা লভ্যাংশ পাবেন। কোন বিনিয়োগকারী যদি ১০০ টাকায় এই শেয়ার কিনে থাকেন তাহলে বিনিয়োগের বিপরীতে তার প্রকৃত লভ্যাংশ প্রাপ্তি (ডিভিডেন্ড ঈল্ড) হবে ৩ শতাংশ। ঘোষিত লভ্যাংশকে ১০০ দিয়ে গুণ করে বাজার মূল্য দিয়ে ভাগ করলে ডিভিডেন্ড ঈল্ড পাওয়া যায়।
সূত্র : ডিভিডেন্ড ঈল্ড = ঘোষিত লভ্যাংশ *১০০/ শেয়ারের বাজার মূল্য
ডিভিডেন্ড ঈল্ড এর পতনঃ
শেয়ার বিনিয়োগ থেকে বর্তমান বাজার মূল্যে, আনুমানিক যে পরিমান ক্যাশ রিটার্ন পাওয়া যাবে তাকেই ডিভিডেন্ড ঈল্ড বলে। ধরা যাক ডিভিডেন্ডের পরিমানে কোন পরিবর্তন না করলে, ডিভিডেন্ড ঈল্ড তখনই বাড়বে যখন শেয়ারের দাম কমবে এবং তখনই কমবে যখন শেয়ারের দাম বাড়বে। যেহেতু ডিভিডেন্ড ঈল্ড এর পরিবর্তন শেয়ারের দামের উপর নির্ভর করে, তাই কম দামের শেয়ারের জন্য ডিভিডেন্ড ঈল্ড অস্বাভাবিক ভাবে বেশি হয়ে থাকে।
ধরুন কোম্পানি-এ এর স্টক 20 টাকায় ট্রেড হচ্ছে এবং শেয়ারহোল্ডারদের কাছে 1 টাকায় প্রতি শেয়ারের বার্ষিক লভ্যাংশ প্রদান করে। এছাড়াও, ধরুন যে কোম্পানি-বি এর স্টক 40 টাকায় ট্রেড করছে এবং শেয়ার প্রতি 1 টাকায় বার্ষিক লভ্যাংশ প্রদান করে। এর অর্থ হল কোম্পানি-এ এর লভ্যাংশ ফলন (Dividend Yield) 5% (1 / ২0 = 0.05), এবং কোম্পানির-বি এর লভ্যাংশ ফলন (Dividend Yield) শুধুমাত্র 2.5% (1/40 = 0.025)। অন্য সকল কারণকে সমান ধরে, একজন বিনিয়োগকারী তার আয়কে বৃদ্ধি করার জন্য তার পোর্টফোলিওতে কোম্পানি-এ রাখতে চাইবে, কারণ এটির লভ্যাংশ ফলন (Dividend Yield) দ্বিগুণ কোম্পানির-বি এর থেকে।
ডিভিডেন্ড ঈল্ডের গুরুত্বঃ
বাংলাদেশের পুজিবারের প্রেক্ষাপটে ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেয়া কোম্পানির গুরুত্ব অনেক বেশি। কারন এখানে ভাল কোম্পানি তাদের শেয়ার বৃদ্ধি করতে ইচ্ছুক না, তাই তারা সব সময় ক্যাশ দিয়ে থাকে। আবার এই সব কোম্পানির শেয়ারের দামের মধ্যে পরিবর্তন খুব বেশি থাকে না। যারা দীর্ঘ সময়ের জন্য ঝুকি মুক্ত বিনিয়োগ করতে আগ্রহী তারা ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেয়া কোম্পানিগুলোর দিকে বেশি খেয়াল রাখে। এদের মধ্যে যে সব কোম্পানির Dividend Yield বেশি এবং প্রায় সব সময় ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেয়, সেসব কোম্পানির শেয়ারের দাম কমের দিকে আসলেই তারা তাদের পোর্টফলিওতে এই শেয়ার কিনে থাকেন। কারন কম দামে কিনতে পারলে ঈল্ড বেশি পাওয়া যাবে।
অন্যদিকে দেখা যায় বাংলাদেশের পুজিবারের অপেক্ষাকৃত খারাপ পার্ফম করা কোম্পানিগুলো স্টক ডিভিডেন্ড দিয়ে থাকে, লাভের সম্পুর্ন অংশ কোম্পানিতে রেখে দেয় পুঃণরায় বিনিয়োগ করার জন্য। যেখানে কোম্পানির শেয়ার ভ্যালু বৃদ্ধি হওয়ার কথা, সেখানে আমাদের মার্কেটে ভ্যালু আরো কমে যায়। কারন এসব কোম্পানি এই টাকাকে ভাল ভাবে ব্যবহার করতে পারে না।
আমাদের দেশেও কিছু ব্যতিক্রম শেয়ার রয়েছে, যারা খুব ভাল পার্ফম করে। তারা ভাল লাভ করে, কিন্তু কোম্পানির গ্রোথের জন্য শেয়ার হোল্ডারদের লাভের কিছু অংশ ক্যাশ হিসাবে দেয় এবং বেশির ভাগ অংশ পুঃণরায় ইনভেস্ট করে। এসব কোম্পানির গ্রোথ রেটও ভাল এবং এসব কোম্পানির উপর ইনভেস্টোরদের আগ্রহ বেশি থাকে।
#Dividends #DividendYields #LearnToInvestWisely
সুত্রঃhttps://www.midwaybd.com/blog/-dividend-yield
No comments:
Post a Comment